রোজার আগে টালমাটাল নিত্যপণ্যের বাজার

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ রোজার আগ মুহূর্তে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে মুরগি ও ডিমের বাজার। খামারের সোনালী ও লেয়ার মুরগিতে এ সপ্তাহে আরও ১০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ডিমের হালিতে ২টাকা বেড়ে হয়েছে ৪৬ টাকা। এদিকে সরকারের বেধে দেওয়া দরের থেকে খুচরা বাজারে কেজিতে ৮ টাকা বেশি নিয়ে সাদা খোলা চিনি ১১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। একই সাথে বাজারে সবজির যেমন অগ্নিমূল্য, তেমনই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ।  শুক্রবার (১৭মার্চ)যশোরের বড়বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
এদিন যশোরের বড়বাজারে খামারের সোনালী লেয়ার মুরগির কেজি ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহেও যা বিক্রি হয়েছিল ৩৩০ টাকায়। ডিমের বাজারও গরম। এ সপ্তাহে প্রতি হালিতে আরও ২টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪৬ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ছে। বিক্রেতা আবুল হাশেম জানান, মুরগির দাম বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। তিনি জানান, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা যেখানে খামারের ব্রয়লার মুরগি সাশ্রয় মূল্যে কিনে আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছিলেন, সেখানে এই মুরগিও এখন ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, বড়বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের অঘোষিত নির্ধারিত দর ১১৫ টাকায় সাদা খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে। অথচ বহু আগেই সরকার সাদা লুজ চিনির খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।  শহরের লোন অফিস পাড়ার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিনিয়ত মুরগির দাম কেন বাড়ছে, সরকারের নির্ধারণ করা চিনির দর ব্যবসায়ীরা কেন মানছেন না, তার কোনো তদারকি হয় না। এ কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত পণ্যের দাম নিতে সাহস পাচ্ছেন।
বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছেও অনেক বেশি দামে। ক্রেতারা বাজার করতে এসে হিমশিম খাচ্ছেন। শুক্রবার বড়বাজারে সজনে ডাটা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, মানকচু ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খুচরা সবজি বিক্রেতা নাসির আলী জানান, রোজার আগে আর দাম কমার লক্ষণ নেই। তবে ১০ রমজানের পর রোজাদের মধ্যে সবজির চাহিদা কমে। সে সময় সবজির দাম কমতে পারে। আর রোজার পরে গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে ওঠার পর দাম কমে আসবে।
শুক্রবার বড়বাজার মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪০/৫০ টায় কেজি হয় এমন দেশি কৈ মাছ কেজি ৫৫০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৮/১০টায় কেজি হয় এমনটার দাম ৪০০ টাকা, চাষের মাগুর মাছ ৩টায় কেজি ৬০০ টাকা,২৫/৩০ টায় কেজি বাইন মাছ ৬০০ টাকা, চাষের পাবদা ৩০/৩৫টায় কেজি ৩০০ টাকা, দেড় কেজি ওজনের রুই মাছের কেজি ২৬০টাকা, ৮০০/৯০০ গ্রাম ওজনের শোল মাছের কেজি ৬৫০ টাকা। ক্রেতার বলছেন মুরগির দাম বাড়ার কারণে দেশি এসব ছোট মাছের দামও বেড়ে গেছে।

 

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments