যুবলীগ থেকে সাময়িক অব্যাহতি ম্যানসেলকে

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিনকে লাঞ্ছিত ও কর্মচারী আল আমিনকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় শহর শাখা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলোচিত সন্ত্রাসী মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেলকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।  বুধবার যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর শহর শাখা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেলের বিরুদ্ধে সরকারি অফিসে অনাধিকার প্রবেশ, সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানসহ হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, সাধারণ জখম, শ্লীলতাহানি ও হুমকিসহ হুকুমদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২(ক) ধারা মোতাবেক যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশক্রমে যশোর শাখা শহর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেলকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হত্যা, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ১৪ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা ও আলোচিত সন্ত্রাসী মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেল গত ৫ মার্চ শহরের মুজিব সড়কস্থ প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে ফিজিওথেরাপি দিতে যান। এ সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সহযোগীরা ওই অফিসের কর্মচারী আল আমিনকে মারধর করেন। এছাড়া সন্ত্রাসীরা জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিনকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই অফিসে অভিযান চালিয়ে মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেল ও তার ৩ সহযোগী অনিক হাসান মেহেদী, সাদি ও রাকিব হাসানকে আটক করে। পরে জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিন তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এই মামলায় মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেল ও তার ৩ সহযোগী বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যশোর পৌরসভার একটি সূত্র জানায়, আলোচিত সন্ত্রাসী মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেল নিজেকে মেয়র হায়দার গনী খান পলাশের ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেলকে গত ৫ মার্চ পুলিশ আটক করলে তার সার্বিক খোঁজখবর নেওয়ার জন্য এদিন কোতয়ালি থানা ও আদালতে পৌরসভার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিলো।
এদিকে আটক মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেলসহ আটক ৪ জনকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তদন্ত কর্মকর্তার করা রিমান্ড শুনানির ধার্য্যদিন রয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। আদালতে তাদের প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই আনছারুল হক।