যশোরে টিসিবি’র সয়াবিন তেল উদ্ধারের ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের বড়বাজারের হাটচান্নি আলুপট্টির একটি মুদি দোকান থেকে টিসিবি’র সয়াবিন তেল উদ্ধারের ঘটনায় ডিলার গৌরাঙ্গ কুমার পাল ওরফে বাবু পালসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গত সোমবার রাতে যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মোকছিমুল বারী অপু ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১) ধারায় মামলাটি করেছেন।
আসামি টিসিবি ডিলার গৌরাঙ্গ কুমার পাল ওরফে বাবু পাল শহরের বেজপাড়া মেঠোপাড়ার মৃত বলরাম পালের ছেলে ও লোকনাথ ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী। অপর আসামিরা হলেন বড়বাজার হাটচান্নি আলুপট্টির রেজাউল স্টোরের মালিক রেজাউল ইসলাম ও তার ছেলে আবু দাউদ।
প্যানেল মেয়র শেখ মোকছিমুল বারী অপু মামলায় উল্লেখ করেছেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিলার গৌরাঙ্গ কুমার পাল ঝিনাইদহ সরকারি গোডাউন থেকে টিসিবি পণ্য উত্তোলন করেন। এই পণ্যের মধ্যে ২ লিটারের ১০৮ বোতল সয়াবিন তেল তিনি কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে যশোর শহরের বড়বাজার হাটচান্নি আলুপট্টির রেজাউল স্টোরে মজুদ করে রাখেন। গত সোমবার রাতে স্থানীয় লোকজন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক সেখানে যান। দোকান মালিক রেজাউল ইসলাম ও তার ছেলে আবু দাউদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা লোকজনের কাছে স্বীকার করেন যে, উল্লিখিত সয়াবিন তেলের মালিক গৌরাঙ্গ কুমার পাল। সাথে সাথে লোকজন রেজাউল ইসলাম ও তার ছেলে আবু দাউদকে আটক করে রাখেন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এছাড়া ওই দোকান থেকে টিসিবি’র ১০৮ বোতল সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ মোকছিমুল বারী অপু ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান।
পুলিশ জানায়, আসামিদের মধ্যে রেজাউল ইসলাম ও আবু দাউদকে গত সোমবার রাতে টিসিবি’র সয়াবিন তেল উদ্ধারের সময় স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হন। মামলা দায়ের হলে তদন্ত কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাকির হোসেন মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করেন। আইনজীবীর মাধ্যমে তারা আদালতে জামিনের আবেদন জানালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়বাজারের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, লোকনাথ ভান্ডারের মালিক গৌরাঙ্গ কুমার পাল ওরফে বাবু পাল দীর্ঘদিন ধরে টিসিবি পণ্য উত্তোলন করে এর একটি অংশ বিশেষ করে সয়াবিন তেল কালোবাজারে বিক্রি করে আসছেন। অধিক মুনাফার লোভে বড়বাজারের কয়েকজন দোকানির কাছে তিনি গোপনে সয়াবিন তেল বিক্রি করে থাকেন। পরে ওই দোকানিরা বোতল থেকে সয়াবিন অন্য পাত্রে ঢেলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করেন। জেলা প্রশাসন যথাযথভাবে তদন্ত করলে বিষয়টি ধরা পড়বে বলে সূত্র জানিয়েছে।