মৌয়ালদের সুন্দরবন যাত্রা

0

শরণখোলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা॥ মধু আহরণের পাশ নিয়ে বনে প্রবেশ করেছে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মৌয়ালরা ।  শনিবার (১ এপ্রিল)  বনবিভাগের প্রহরায় মৌয়ালরা নৌকায় করে একযোগে মধু আহরণের জন্য বনে প্রবেশ করে। দুই মাস বনে অবস্থান করে তাদের মধু সংগ্রহের কথা রয়েছে । তবে অভয়ারণ্য এলাকায় ঢুকে মধু আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় কাঙ্খিত মধুর দেখা পাবেন কিনা তা নিয়ে মৌয়ালদের মাঝে রয়েছে শঙ্কা । এ ছাড়া বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত বছর গরান গাছে যথা সময় ফুল না আসায় কাঙ্খিত মধুর দেখা পাননি মৌয়ালরা।
বনবিভাগ জানায়, পাশ নিয়ে বনে প্রবেশ করেছে শরণখোলার মৌয়ালরা । এ বছর এখন পর্যন্ত ৩৪টি মধুর পাশ হয়েছে এবং এ সব পাশের অনুকুলে প্রায় ২৫০ জন মধু সংগ্রহকারী বনে প্রবেশ করেছে। ৩০ জুন পর্যন্ত তারা বনে অবস্থান করে মধু সংগ্রহ করবে।
বন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের মৌয়াল মোঃ ইউনুস আলী হাওলাদার, চালিতাবুনিয়া গ্রামের মোঃ ইসমাইল হোসেন, বগী গ্রামের মোঃ কামাল হোসেন জানান, পুর্ব সুন্দরবনের দুধমুখি, কোকিলমুনি, টিয়ারচর, ছাপড়াখালী, কচিখালী, কটকা এলাকায় বেশি মধু পাওয়া যায় । কিন্তু এসব জায়গা অভয়ারণ্য ঘোষণা করায় মধু আহরণে বাধা দেয় বনরক্ষিরা। এ কারণে অনেক খরচ ও কষ্ট করে আশানুরুপ মধুর দেখা পাননা এবং লোকসান গুনতে হয় তাদের। অভয়ারণ্য এলাকায় মধু আহরণ করার সুযোগ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান মৌয়ালরা ।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব জানান, অভয়ারণ্য ঘোষিত এলাকায় মধু আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে । মৌয়ালরা বনে প্রবেশ করে বনের কোন ক্ষতি না করতে পারে সে দিকে বনরক্ষিরা সর্তক দৃষ্টি রাখছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে পূর্ব সুন্দরবন থেকে ৬শ কুইন্টাল মধু আহরনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাত্র ২২৮ কুইন্টাল মধু সংগ্রহ করা করা সম্ভব হয়। প্রাকৃতিক কারণে গত বছর আশানুরুপ মধু আহরণ করতে পারেনি মৌয়ালরা। এ বছর আবহাওয়া ভালো আছে মধু আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করা হবে।