মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ যশোরের চারুবালা করের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নারী শহীদ যশোরের চারুবালা করের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন হতে যাচ্ছে। আগামী বছর থেকে ওই স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে। নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটি এ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ যশোরবাসীর কাছে ঐতিহাসিক দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল এই দিনে। পাক হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে এই দিনে যশোরে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন চারুবালা কর। নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে তার সমাধি হয়। কিন্তু সেই সমাধিস্থল বেদখল হয়ে গেছে। খুঁজে পাওয়া যায়নি সমাধিস্থলে স্থাপিত শহীদ চারুবালা করের স্মৃতিফলক। তাই বরাবরের মত এবছরও ৩ মার্চ ২০২৩ এর সকালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির উদ্যোগে নীলগঞ্জ মহাশ্মশান প্রাঙ্গণের এক বটগাছের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি প্রতীকী শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি সুখেন মজুমদার। একাত্তরের ৩ মার্চের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বীরমুক্তিযোদ্ধা ভীমসেন দাস স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা করেন। বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুন অর রশীদ, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু। সঞ্চালনা করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের দপ্তর সম্পাদক প্রণব দাস।
উল্লেখ্য, শহীদ চারুবালার স্মৃতি ধরে রাখতে টেলিফোন ভবনের সামনের সড়কটির নাম পরিবর্তন করে শহীদ সড়ক নামকরণ করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয় নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে শহীদ চারুবালার সমাধির ওপর। স্মৃতিস্তম্ভসহ কিছু জমি এখন প্রগতি বালিকা বিদ্যালয়লসহ আশপাশের মানুষের দখলে। অর্থাৎ ৭১’এর প্রথম শহীদ চারুবালা করে স্মৃতিস্তম্ভ বেদখল হয়ে গেছে।