পাষণ্ড পিতা

0

লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা॥ দ্বিতীয় বউ চলে যাওয়ায় প্রথম স্ত্রীর আট মাস বয়সের ছেলেকে দুই পা উল্টো করে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেছে এক পাষণ্ড। মামুন শেখ (৩৬) নামে ওই পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে লোহাগড়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের দাউদ শেখের ছেলে মামুন শেখের সঙ্গে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় কুলসুম বেগমের (৩০)। বিয়ের পর থেকে তারা সুখে-শান্তিতে সংসার করছিলেন। তাদের ঘরে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। এক বছর আগে মামুন শেখ প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে প্রথম স্ত্রীর কোনো খোঁজ খবর নেন না এবং ছেলে মেয়েদের কোনো খরচও দেন না। মাঝে মধ্যে যৌতুকের জন্য কুলসুমকে নির্যাতন করতে থাকেন।
সোমবার দুপুর ২ টার দিকে স্বামী মামুন শেখ কুলসুম,স্ত্রী বেগমকে তার পিতার বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলেন। কিন্তু টাকা আনতে অস্বীকার করেন কুলসুম। তখন তাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করেন মামুন। এ সময় মামুন শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী মাফুজা আক্তার সাথী (২৫) কুলসুমকে মারপিট করে পালিয়ে যান। দ্বিতীয় স্ত্রী চলে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন শেখ নিজের ৮ মাস বয়সী শিশু আল হাবিবকে নিয়ে আম গাছের ডালে দুই পা দড়ি দিয়ে বেঁধে উল্টো করে ঝুঁলিয়ে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। কুলসুম বেগম ও তার মা মামুনের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও মারপিট করা হয়। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় শিশুর মা স্বামী ও স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী মাফুজা আক্তার সাথীকে আসামি করে সোমবার থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর মামুন শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।