পবিত্র শবে বরাত পালিত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ )সন্ধ্যার পর থেকেই যশোরের মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের পদচারণা বেড়ে যায়। মসজিদের মাইকে মাইকে বিভিন্ন মাসআলা, তালিমসহ বয়ান করেন ইমামরা।
মহিমান্বিত এই রাতে যশোরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় মসজিদে-বাড়িতে নফল নামাজ, কবর জিয়ারত, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন ছিলেন। কবর জিয়ারতের সুবিধার্থে যশোর শহরের অধিকাংশ কবরস্থান লাইটিং করা হয় । মুসল্লিরা মাগরিবের পর থেকে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী, অনেকে আবার এশার নামাজের পরে সম্মিলিতভাবে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোর জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক আনিসুজ্জামান সিকদার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোরের উপপরিচালক বিল্লাল বিন কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির ফিল্ড অফিসার আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের আয়োজন ছাড়াও শহরের প্রতিটি মসজিদেই এ উপলক্ষে ধর্মীয় বয়ান করেন উলামাগণ। যশোর কালেক্টরেট মসজিদে এশার আগে ও পরে এ উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নিয়ে আল্লাহর ক্ষমার জন্য দোয়া করেন।
শহরের উপশহর মারকাজ মসজিদে মাগরিবের নামাজের পর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা অংশ নেন। এশার নামাজের আগে সেখানে শবে বরাতের মর্যাদা ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়। এশার নামাজের পর সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মুসল্লি মসজিদে অবস্থান নিয়ে ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকেন।
পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও বাসা-বাড়িতে অবস্থান নিয়ে সারারাত কোরআন তেলাওয়াত ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন।
শেষরাতে মোনাজাতের সময় বিগত জীবনের পাপ মার্জনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের ও মৃত আত্মীয়-স্বজনের জন্যে দোয়া এবং মুসলিম উম্মার ঐক্য, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনার করে আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে মোনাজাত করেন মুসল্লিরা। প্রতিটি মসজিদের সামনে সামর্থবানদের কাছে সাহায্যের জন্যে ফকির মিসকিনরা অবস্থান নেন। মুসল্লিরাও নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় এসব অসহায় মানুষের কল্যাণে দান-সদকাহ দেন।