জুতোর মোজায় ও ভুসির বস্তায় ২০টি সোনার বার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যশোরের শার্শায় জুতোর মোজায় লুকিয়ে রাখা ১০টি ও চুয়াডাঙ্গায় ভুসির বস্তার ভেতর থেকে ১০টি সোনার বার উদ্ধার করেছে বিজিবি। শার্শা সীমান্তে দুই জন আটক হয়েছে।
নাভারণ (যশোর) সংবাদদাতা জানান, পায়ের মোজায় লুকিয়ে ১০ টি সোনার বার ভারতে পাচারকালে যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলা সীমান্ত থেকে দুইজনকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। গতকাল সকাল ১১টার দিকে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি টহলদল বারগুলো উদ্ধার করে। আটকরা হলেন নড়াইল জেলা সদরের বাহিরগ্রামের জাহেদ আলীর ছেলে জাফর আলী (৫২) ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার দুধপাতিল গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে নয়ন আলী (১৮)।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান জানান, ভারতে সোনার বার পাচার হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি নিজেই শার্শা অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের নিয়ে শার্শার জামতলা সীমান্ত এলাকায় গোপনে অবস্থান নেন। এ সময় টহল দল দুই ব্যক্তিকে হাঁটতে হাঁটতে আসতে দেখে তাদেরকে থামতে বলে। পরে তাদের পায়ের মোজার মধ্যে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ১০ টি সোনার বার পাওয়া যায়। যার ওজন এক কেজি ১৬৭ গ্রাম। বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালান আইনে মামলা দিয়ে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সোনার চালানটি ট্রেজারি শাখায় জমা করা হবে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় গমের ভুসির বস্তা থেকে ১০টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে; যার দাম প্রায় আড়াই কোটি টাকা বলে বিজিবি জানায়।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর বিওপির ঝাঝাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে বারগুলো জব্দ করা হয় বলে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান।
তিনি জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতে সোনার চালান পাচারের গোপন সংবাদে ওই এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবির একটি দল।
বিকেল ৩টায় এ এলাকা দিয়ে ব্যাটারি চালিত একটি ভ্যান নাস্তিপুর সীমান্ত এলাকার দিকে যেতে দেখে বিজিবির সন্দেহ হয়। তখন টহলদল ভ্যানটির গতি রোধ করে। এ সময় ভ্যানে থাকা এক ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে টহলদল ভ্যানে থাকা গমের ভুসির একটি বস্তা জব্দ করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ জাহিদুর রহমান আরও বলেন, বস্তাটি পালিয়ে যাওয়া অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির বলে জানান ভ্যানে থাকা অন্য আরোহীরা। পরে ওই বস্তা তল্লাশি করে ৩ কেজি ১৬৩ গ্রাম ওজনের ১০টি সোনার বার জব্দ করা হয়।
জাহিদুর রহমান আরও জানান, এ ব্যাপারে বিজিবির নায়েক দিদার বাদশা বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেন। জব্দ সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হবে।