খুলনার দিঘলিয়ায় সরকারি গাছ কেটে লুটের চেষ্টা

0

 

খুলনা ব্যুরো॥ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কোলা-গাজিরহাট সড়কের ডোমরা গাজীপাড়ায় সড়কের চারটি সরকারি গাছ অবৈধভাবে কেটে স্থানীয় একটি চক্র লুটের চেষ্টা করেছে। চারটি গাছের আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। গাছ কাটার নির্দেশদাতা হিসেবে স্থানীয় গাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মফিজুল ইসলাম ঠান্ডুর নাম বলেছে শ্রমিকরা। তবে, চেয়ারম্যান ঠান্ডু বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলমের নির্দেশে পুলিশ কাটা গাছের অংশগুলো মঙ্গলবার বিকেলে জব্দ করে স্থানীয় জনৈক ব্যক্তির জিম্মায় রেখেছে। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে, কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই এভাবে বিভিন্ন অজুহাতে সরকারি বৃক্ষ নিধনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও সরেজমিনে মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কোলা-গাজিরহাট সড়কের ডোমরা গাজীপাড়ায় সড়কের পাশের ৩টি সিরিষ ও ১টি চম্বল গাছ শ্রমিকরা কর্তণ করছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা ও গাজীপাড়া মসজিদের সভাপতি গাজী গিয়াস উদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু’র নির্দেশেই তিনি গাছ কাটছেন। এ সময় গাছের ক্রেতা স্থানীয় পারমচন্দপুর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী সোহাগ শেখের লোকজন মাহেন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যায়। অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমরা মসজিদ কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, চারটি গাছ কাটছি মসজিদের জানালা-দরজার জন্য। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্লার নির্দেশে গাছ কাটা হয়েছে। ইউএনওকে ম্যানেজ করার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের।
তবে, কর্তণকৃত গাছগুলো সরকারি বলে স্বীকার করলেও কাটার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু।
মাঝির গাতী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সুব্রত কুমার বিশ্বাস বলেন, দিঘলিয়া নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ গাছগুলো জব্দ করছে। আজ বুধবার এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে