কুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা ও পুনর্মিলনী

0

কুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১ম বার্ষিক সাধারণসভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুক্রবার শুরু হয়েছে। কুয়েট ক্যাম্পাসে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠান শনিবার শেষ হবে। ১ম বার্ষিক সাধারণসভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ১৯৭২ ব্যাচ থেকে শুরু করে ২০১৬ ব্যাচের এগারো শতাধিক অ্যালামনাই ও তাদের পরিবারবর্গসহ প্রায় দুই সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারীর অংশগ্রহণে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, অ্যালামনাইরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। বিশ্বের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যালামনাইরা ওই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আজকের এই অনুষ্ঠান অ্যালামনাইদের বিশাল সংসারের মহামিলনমেলা। প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তুলতে একজন শিক্ষার্থীর পেছনে সরকারকে লা লাখ টাকা ব্যয় করতে হয়। প্রকৌশলী হওয়ার পর তাদের উচিত দেশকে তার প্রতিদান দেয়া। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও কুয়েট অ্যালামনাই অসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, অ্যালমনাইরা কুয়েটের এম্বেসডর। অ্যালামনাইদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পায়। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কুয়েটের অ্যালমনাইরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, কুয়েটের উন্নয়নেও তাদের কাজ করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ, তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আমারও অনেক সমৃদ্ধ হতে পারবো। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল ও বিআইটি, খুলনার প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ড. এম. এ. হান্নান ও প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কুয়েট অ্যালামনাই অ্যসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. মো. আবু জাকির মোর্শেদ। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন শোভাযাত্রা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা, বার্ষিক সাধারণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত হবে জব ফেয়ার, স্মৃতিচারণ, বিভাগীয় ফেস্ট প্রভৃতি। বিজ্ঞপ্তি ।