কপিলমুনির লতায় মৎস্য ঘের লুট ও হামলা

0

কপিলমুনি(খুলনা) সংবাদদাতা॥ কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী লতায় একটি মৎস্য ঘেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মৎস্য ঘেরটি দখল নিতে ভাড়া করা হয়েছে বহিরাগত সন্ত্রাসী। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার লতা ইউনিয়নের হালদার চক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে হালদার চক মৎস্য ঘেরে বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও বেড়িবাঁধ কেটে দেয় প্রতিপক্ষ একই এলাকার মৃত আব্বাস গাজীর ছেলে শামছুর গাজী গং। এ সময় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে তারা।

ওই গ্রামের মৃত কোনাই লস্করের ছেলে মৎস্য ঘের মালিক মিজানুর লস্কর জানান, ৮/৬৫-৬৬ নং পোল্ডারের ১২৯ নং খতিয়ানের ৬১২ দাগে ওয়াপদার অধীনে এফসিডিআই‘র সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ইজারা নিয়ে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছেন। চলতি ভরা মৌসুমে মাছে ভরা ঘেরটি স্থানীয় শামছুর গাজী, হাফিজুল গাজী, ফজর মোড়ল, বহিরাগত ডুমুরিয়ার ইয়াসিন ও মিঠুনের নেত্বত্বে ৪০/৫০ জনের এক সশস্ত্র বাহিনী হামলা চালায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে হামলা চালিয়ে মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে দেয়। এতে কয়েক লাখ টাকার মাছ চলে যায়। ফলে তার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। শুধু তাই নয় হামলাকারীরা লুটপাট চালায়।
জানাগেছে, ক্ষতিগ্রস্ত মিজানুরের উপার্জনের জন্য ঘেরটি ছাড়া কিছু নেই। ওয়াপদার পার্শ্বে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। ওয়াপদা অফিসের কাছ থেকে ইজারা মাধ্যমে তিনি এটি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয় শামছুর গাজী, হাফিজুল গাজী ও ফজর মোড়ল এটি দখল নিতে ষড়যন্ত্র করে আসছে। মিজানুর আরো জানায়, মৌসুম এলেই তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে শামছুর গং।
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানা ওসি মো. জিয়াউর রহমান জানান, তার ‘নলেজে’ আছে। বিষয়টি ওয়াপদার অধীনে তাই এসও সাহেব দেখছেন বলেও জানান তিনি। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস জানান, মিজানুর সঠিক আছে। এ বিষয়ে তিনি প্রতিবেদনও দিয়েছেন।