ইবি ভিসির কথোপকথনের ব্যাখা চেয়ে ৩৬ শিক্ষকের গণস্বাক্ষর, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

0

ইবি সংবাদদাতা ॥ সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কন্ঠসদৃশ নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টিতে বিস্মিত ও মর্মামত হয়ে গণস্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। ৩৬ জন শিক্ষকের গণস্বাক্ষরযুক্ত প্রতিবাদ লিপিটি বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যকে দিয়েছেন তারা। এছাড়াও উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতি ও শাপলা ফোরামকেও প্রতিবাদ লিপিটি দেওয়া হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম। গণস্বাক্ষরে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ একটি অডিও ক্লিপ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এধরনের কথোপকথনে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি। অডিওতে বলা হয়েছে, ‘আমার (বর্তমান উপাচার্য) সময়ের আগে টাকা ছাড়া মেধায় কোন নিয়োগ হতো না। সবাইকে ১৬-১৮ লাখ টাকা দিতে হতো।’ এধরনের কথোপকথনে আমাদের অবমূল্যায়ন, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। গণস্বাক্ষরে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে অনেকে অনেক ভালো পেশায় যুক্ত ছিলাম। কিন্তু শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় যুক্ত হতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের ভিত্তিহীন কথোপকথন শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের অডিওতে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে তা শিক্ষকদের জন্য অসম্মানজনক। আমরা গণস্বাক্ষর করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় বরাবর পাঠিয়েছি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, শাপলা ফোরামের কাছেও পাঠিয়েছি। আমরা শনিবারের মধ্যে উপাচার্যের কাছে বিষয়টির ব্যাখা চেয়েছি। না দিলে শিক্ষকরা রবিবার থেকে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।’

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments